• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ফুটবল

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান

ভারতসেরা সবুজ-মেরুন।


ভিড়ে ঠাসা রাস্তা। কোনও গাড়িতে ‘শুনে যা, শুনে যা’ তো কোনও গাড়িয়ে আবার ‘আমাদের সূর্য মেরুন’। ভিড় একেবারে যুবভারতীর গেটে এসে শেষ হয়েছে। টালা থেকে টালিগঞ্জ, সব রাস্তাই যেন এসে মিশেছে যুবভারতীতে। স্টেডিয়ামের ভিতরের চিত্রটা রাস্তাই বলে দিচ্ছিল। প্রায় হাজার পঞ্চাশেক মানুষের দখলে তখন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার আগে থেকেই গগনভেদী চিৎকার। তীব্রতা এতটাই যে কান পাতা দায়!
ঘরের মাঠে আইএসএল ফাইনাল। দর্শক সমর্থনের সুবিধা তো পাবেই হোম টিম। তবে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে সেই সুবিধা প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন কতটা তুলতে পারল, প্রশ্ন থাকছে সেখানেই। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট দুই দলই আক্রমণ শানিয়েছে। কিন্তু সুনীল ছেত্রী দলের সেই পরিমাণটা ছিল একটু বেশিই। কামিংস-ম্যাকলারেনরা যেমন গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন, তেমন সুনীল-ওর্তেগারাও হারিয়েছেন দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ। যদিও এই সময় চারটি কর্নার আদায় করে বেঙ্গালুরু। পরে আরও একটি। যেখানে মোহনবাগানের সংখ্যাটা শূন্য। দূর্গের শেষ প্রহরী বিশাল কায়েথ যদি পাঁচিল তুলে না দাঁড়াতেন, তাহলে পিছিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল বাগানের। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ গোলশূন্য রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে দুই দল। শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই সুযোগ পায় মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু। অবশেষে ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ভাঙে গোলের ডেডলক। গোলদাতা আলবার্তো রড্রিগেজ। কিন্তু বিপক্ষের নয়, তিনি বল জড়ান নিজেদের গোলেই। ডানদিক থেকে রায়ান উইলিয়ামসের ক্রস রড্রিগেজের পায়ে গিয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল জড়িয়ে যায় যায়। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না বিশালের। নিমেষের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে যায় যুবভারতী। যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা।
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় সবুজ-মেরুন। কিন্তু গোলমুখ খুলছিল না কিছুতেই। অবশেষে ৭০ মিনিটে আসে সেই সুযোগ। বাঁদিক থেকে কামিংসের ক্রস বক্সে ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাতে লাগিয়ে ফেলেন চিংলেনসানা। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। কামিংসের বাঁ পায়ের গড়ানে শট জালে জড়াতে শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয় যুবভারতীর গ্যালারিতে।
সমতায় ফিরেও খেলার রং বদলায়নি। জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন। বিশেষ করে আশিক কুরুনিয়ন বেশ কয়েকবার বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন বাঁ দিক থেকে। এই অর্ধে ছ’টি কর্নার পায় মোহনবাগান। সেখানে বেঙ্গালুরু একটিও কর্নার আদায় করতে ব্যর্থ। তবে গোল আর হয়নি। ফলস্বরূপ নির্ধারিত সময় ম্যাচ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়।
খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে পাঁচ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। গ্রেগ স্টুয়ার্ট বক্সের মধ্যে ছোট্ট পাস বাড়ান জেমি ম্যাকলারেনকে। একজনকে কাটিয়ে গোলে শট নেন অজি বিশ্বকাপার। বল জালে জড়াতে ফের শব্দব্রহ্মে ফেটে পড়ে যুবভারতী। এই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top